কর্মসূত্রে আপাতত উত্তরবঙ্গই ঠিকানা। একঘেয়ে কাজ করতে করতে বৃহস্পতিবার মাঝরাতে পুরনো বন্ধুর ফোন-"ভাই দার্জিলিং যাবি !!একমুহূর্ত না ভেবে বললাম আমার তো শনি রবি ছুটি চল শুক্কুর বার রাতে শিলিগুড়ি চলে আসছি অফিস সেরে ।তারপর ভোর ভোর বেরিয়ে যাবো দার্জিলিং।সেই মতো আমি আর আমার রুম মেটরা বেরিয়ে পড়লাম ওরাও রাজি। আগে যেখানে গেছি সবই প্ল্যান করে। এটা একদম uncertain.. এবার journey এর কথায় আসি..
রাত 11 tai শিলিগুড়ি পৌঁছে junction এর কাছে একটা হোটেল এ থেকে গাড়ির ব্যবস্থা করলাম মিরিকের রাস্তাটা দিয়ে যাবো। সেই মতো কথা বলে নিয়ে ড্রাইভার কে বললাম ভোর 5 টায় চলে আসতে। তো সবাই মিলে সাড়ে পাঁচটায় পড়লাম বেরিয়ে। সুন্দর রাস্তা, যদিও মিরিক হয়ে দার্জিলিং গেলে ভাড়া একটু বেশি পরে গাড়ির তবুও কুচ পরোয়া নেহি। একেবারে মিরিক পৌঁছে লেকের ধারে সকালের জলখাবার এবং কিছুটা হেটে আবার গাড়ি ধরলাম একটু পরেই আসলো পাইন বন। কি সুন্দর প্রকৃতির রূপ, তখনও খুব ঠান্ডাটা পড়েনি, খুব মনোরম আবহাওয়া, প্রকৃতির রূপ উপভোগ করতে করতে পৌঁছে গেলাম দার্জিলিং প্রায় এগারোটা।
তারপর একটা surprise..বন্ধুটা আগেই হোটেল বুক করে রেখেছিল,মনটা বেশ খুশিতে ভরে গেল। যাক কোনোরকমে একটু ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে পড়লাম ঘুরতে দার্জিলিং zoo টা বেশ সুন্দর। ওখানে কিছুটা সময় কাটিয়ে চলে গেলাম Himalayan mountenring institute . ওখানে কিছুটা সময় কাটিয়ে চলে গেলাম টি এস্টেট ও,চা বাগানের অপরূপ সৌন্দর্য মন টা ভরিয়ে দিলো। ওপর থেকে যত নিচের দিকে তাকাই ততো বেশ একটা অপুর্ব অনুভূতি হয় বলে বোঝানো সম্ভব নয়, চা বাগানের পাশে যে চা টা খেলাম তার স্বাদের ভাগ হবে না,অতুলনীয়। রাতেএলাম ম্যাল এ, তারপর ম্যাল থেকে ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে রইলাম চিরনবীন কাঞ্চনজজ্ঞার দিকে, শুভ্র চূড়া মনের মধ্যে একটা শান্তি নিয়ে এলো। তারপর ভোজনরসিক বাঙালীর র কি বাকি থাকে!!! চললো ভালো restro র খোঁজ। ম্যাল এর একটু কাছেই ছিল kfc এর opposite এ Glenary's Bakery & Cafe ওখানে খানা পিনা সেরে রাতে গপ্পো আর ঘুম..
তারপর দিন হোটেল থেকেই গাড়ি ঠিক করা ছিল সকাল সাড়ে চারটেয় উঠে বেরিয়ে গেলাম টাইগার হিল এর উদ্দেশ্যে। ভাগ্য সহায় থাকলে যা হয় আর কি..একফালিও মেঘ ছিলো না যে আমাদের সূর্যোদয় দেখা থেকে বিরত রাখতে পারে..ওখানে সূর্যদয় দেখা একটা আলাদা অনুভূতি প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে, আগে ছোট বেলায় দেখেছিলাম মনে ছিল না😝😝।
তারপর বতাসিয়া লুপ, গঙ্গামাইয়া পার্ক, রক গার্ডেন , মনেস্ট্রি ঘুরে ফিরতে ফিরতে বিকাল 4 টে। তো সবকিছু ঘোরা শেষ হলে চলে গেলাম ম্যাল মার্কেট এ। দোকানে কিছু সস্তায় গরম জামাকাপড় কিনে রাতে ঢুকলাম Joey's pub এ। বেশ সুন্দর জায়গা এবং বেশ সস্তার, একটু সুয়ার খেলাম, বেশ ভালোই লাগলো। জাত গেল কিনা জানি না।😉😉তারপর খানা পিনা করে সটান ঘুম..এবার ফিরে যাবার পালা..
খুব ইচ্ছে করছিল আরো দুদিন থেকে যেতে পাহাড়ের কোলে শান্তিতে দুদিন ঘুমিয়ে থাকতে ..কিন্তু পেটের দায়ে সকাল 5 tai গাড়ি ধরে ফিরে এলাম সমতলে,ফেরার সময় বাড়তি পাওনা হিসাবে সূর্যোদয়.. যেন খানিকটা দম পেলাম নতুন করে বাঁচার... বয়সটা কিছু কমে গিয়েছিল মনে হলো, মনে হয়েছিল কলেজ জীবনে ফিরে গেছিলাম দু দিন..আবার সোমবার...আবার ব্যস্ত জীবন...
এই uncertain journey টা বলে গেল যেন- দূরবীনে চোখ না রেখেও মাঝে মাঝে বেরিয়ে পড়তে হবে অজানার উদ্দেশ্যে, তবেই পাওয়া যায় বেঁচে থাকার রসদ। 😊😊
ছবিগুলো রইলো স্মৃতি হিসাবে...♥️♥️
P.c- #me #one_plus_5 সময়ের অভাবে ক্যামেরাটা জোগাড় করতে পারিনি, নাহলে ছবি গুলো আরো সুন্দর আসতো..
#trees #tree #mountain #mountains #beautiful #beautiofbc #backpackersantuary #adventureideas #adventure #countrygirl #lake #lakes #britishcolumbia #explorebc #parkscanada #ourbc #cheaptravel #travelcheap #travelsnaps #travelsnaps #tvvt #travalour #iamtb #roamtravels #treadedtravels #theworldguru #expediapic #lovetheworld #livetravelchannel #intrepidtravel #topdecker #village #green #scenery #tour #travellife #tours #tourindia #traveltheworld #travel #travelblogger #traveler #jungle #satkoshia #orissatourism #angul #tiger #core #area #crocodile #nature #naturephotography #video #দার্জিলিং#Darjeeling #mirik #Siliguri রাত 11 tai শিলিগুড়ি পৌঁছে junction এর কাছে একটা হোটেল এ থেকে গাড়ির ব্যবস্থা করলাম মিরিকের রাস্তাটা দিয়ে যাবো। সেই মতো কথা বলে নিয়ে ড্রাইভার কে বললাম ভোর 5 টায় চলে আসতে। তো সবাই মিলে সাড়ে পাঁচটায় পড়লাম বেরিয়ে। সুন্দর রাস্তা, যদিও মিরিক হয়ে দার্জিলিং গেলে ভাড়া একটু বেশি পরে গাড়ির তবুও কুচ পরোয়া নেহি। একেবারে মিরিক পৌঁছে লেকের ধারে সকালের জলখাবার এবং কিছুটা হেটে আবার গাড়ি ধরলাম একটু পরেই আসলো পাইন বন। কি সুন্দর প্রকৃতির রূপ, তখনও খুব ঠান্ডাটা পড়েনি, খুব মনোরম আবহাওয়া, প্রকৃতির রূপ উপভোগ করতে করতে পৌঁছে গেলাম দার্জিলিং প্রায় এগারোটা।
তারপর একটা surprise..বন্ধুটা আগেই হোটেল বুক করে রেখেছিল,মনটা বেশ খুশিতে ভরে গেল। যাক কোনোরকমে একটু ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে পড়লাম ঘুরতে দার্জিলিং zoo টা বেশ সুন্দর। ওখানে কিছুটা সময় কাটিয়ে চলে গেলাম Himalayan mountenring institute . ওখানে কিছুটা সময় কাটিয়ে চলে গেলাম টি এস্টেট ও,চা বাগানের অপরূপ সৌন্দর্য মন টা ভরিয়ে দিলো। ওপর থেকে যত নিচের দিকে তাকাই ততো বেশ একটা অপুর্ব অনুভূতি হয় বলে বোঝানো সম্ভব নয়, চা বাগানের পাশে যে চা টা খেলাম তার স্বাদের ভাগ হবে না,অতুলনীয়। রাতেএলাম ম্যাল এ, তারপর ম্যাল থেকে ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে রইলাম চিরনবীন কাঞ্চনজজ্ঞার দিকে, শুভ্র চূড়া মনের মধ্যে একটা শান্তি নিয়ে এলো। তারপর ভোজনরসিক বাঙালীর র কি বাকি থাকে!!! চললো ভালো restro র খোঁজ। ম্যাল এর একটু কাছেই ছিল kfc এর opposite এ Glenary's Bakery & Cafe ওখানে খানা পিনা সেরে রাতে গপ্পো আর ঘুম..
তারপর দিন হোটেল থেকেই গাড়ি ঠিক করা ছিল সকাল সাড়ে চারটেয় উঠে বেরিয়ে গেলাম টাইগার হিল এর উদ্দেশ্যে। ভাগ্য সহায় থাকলে যা হয় আর কি..একফালিও মেঘ ছিলো না যে আমাদের সূর্যোদয় দেখা থেকে বিরত রাখতে পারে..ওখানে সূর্যদয় দেখা একটা আলাদা অনুভূতি প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে, আগে ছোট বেলায় দেখেছিলাম মনে ছিল না😝😝।
তারপর বতাসিয়া লুপ, গঙ্গামাইয়া পার্ক, রক গার্ডেন , মনেস্ট্রি ঘুরে ফিরতে ফিরতে বিকাল 4 টে। তো সবকিছু ঘোরা শেষ হলে চলে গেলাম ম্যাল মার্কেট এ। দোকানে কিছু সস্তায় গরম জামাকাপড় কিনে রাতে ঢুকলাম Joey's pub এ। বেশ সুন্দর জায়গা এবং বেশ সস্তার, একটু সুয়ার খেলাম, বেশ ভালোই লাগলো। জাত গেল কিনা জানি না।😉😉তারপর খানা পিনা করে সটান ঘুম..এবার ফিরে যাবার পালা..
খুব ইচ্ছে করছিল আরো দুদিন থেকে যেতে পাহাড়ের কোলে শান্তিতে দুদিন ঘুমিয়ে থাকতে ..কিন্তু পেটের দায়ে সকাল 5 tai গাড়ি ধরে ফিরে এলাম সমতলে,ফেরার সময় বাড়তি পাওনা হিসাবে সূর্যোদয়.. যেন খানিকটা দম পেলাম নতুন করে বাঁচার... বয়সটা কিছু কমে গিয়েছিল মনে হলো, মনে হয়েছিল কলেজ জীবনে ফিরে গেছিলাম দু দিন..আবার সোমবার...আবার ব্যস্ত জীবন...
এই uncertain journey টা বলে গেল যেন- দূরবীনে চোখ না রেখেও মাঝে মাঝে বেরিয়ে পড়তে হবে অজানার উদ্দেশ্যে, তবেই পাওয়া যায় বেঁচে থাকার রসদ। 😊😊
ছবিগুলো রইলো স্মৃতি হিসাবে...♥️♥️
P.c- #me #one_plus_5 সময়ের অভাবে ক্যামেরাটা জোগাড় করতে পারিনি, নাহলে ছবি গুলো আরো সুন্দর আসতো..
No comments:
Post a Comment