Search This Blog

Sunday 28 January 2018

FAQs on Ladakh trip লাদাখ ভ্রমণের কিছু প্রশ্নোত্তর

#FAQs__on__Ladakh__trip......ফ্রম এ পাতি বাঙালী :-


লাদাখ ট্রিপের ব্যাপারে আমাকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জনের নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। সেই সব বন্ধুদের কথা ভেবেই বেশ কিছুদিন আগে এই বিষয়ে একটা পোস্ট লিখেছিলাম। লেখাটা নাকি অনেককে হেল্প করেছে বলে শুনেছি। জানিনা সত্যিই কতটা হেল্প করেছে, বা আদৌ কোনো হেল্প করেছে কিনা। সেই লেখাটাই এখানে শেয়ার করলাম। পোস্টটা যদি কোনো বন্ধুর কাজে লাগে তাহলে যারপরনাই আনন্দিত বোধ করবো।

যাইহোক, বেশি ভ্যানতাড়া না কষে আসুন এবার মৃলপর্বে যাওয়া যাক।

Q) Which is the best time to visit Ladakh ?

Ans) May to September is the best season, or more precisely, end-May to mid-September.

Q) Which route is better, by land or by air ?

Ans) Depends primarily on your total time period of trip. If you have a tight schedule, then naturally you should adopt the aerial route. But in case you can afford to spend a couple of extra days, then there is nothing better than going to Ladakh by road. The scenic beauty which encompasses the road journey is just an experience of a lifetime.

Moreover, road journey immensely helps in acclimatisation, কারণ এক্ষেত্রে আপনি অনেকটা সময় পাচ্ছেন নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য। অপরদিকে আপনি যখন প্লেনে যাচ্ছেন তখন মাত্র একঘন্টার মধ্যে একটা সম্পূর্ণ অপরিচিত এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার জগতে প্রবেশ করছেন, যার ফলে acclimatised হতে বেশি সময় লাগে।

এই প্রসঙ্গে বলে রাখি, Manali-Leh অথবা Srinagar-Kargil-Leh, এই দুটো পথের কোনোটাই কিন্তু সারাবছর খোলা থাকে না। শীতকালে ঘন বরফে রাস্তা ঢেকে যায়, তারপর আবহাওয়া অনুকূল হলে সেই বরফ সরিয়ে আবার route open করা হয়। স্বাভাবিক ভাবেই আগে থেকে বলা সম্ভব নয় কোন বছর কবে পথ খুলবে, তবে "thumb rule" হিসেবে ধরে নিতে পারেন জুনের মাঝামাঝি সময়ের পর থেকে আর কোনো চাপ নেই। যাইহোক, যখনই যান ভালোমতো খোঁজখবর নিয়ে তবে যাবেন।

Q) If I go by road, which route should I take  - Srinagar to Leh or Manali to Leh ?

Ans) If it is a both-way road journey, then the best and ideal plan should be to go by the Srinagar-Kargil-Leh route and return by Leh-Sarchu-Keylong/Jispa-Manali route.
The first route is best for acclimatisation due to gradual ascent, and the second route is best for scenic beauty.

However, if you are planning to go by road and return by flight (from Leh), then it is better to take the Manali - Leh route, just for its unmatched beauty. This is arguably the most scenic highway in India.

তবে এই প্রসঙ্গে একটা ব্যাপার বলে দেওয়া ভালো, সেটা হলো এই যে আপনারা যদি Manali-Leh Route ধরে লাদাখ যান, তাহলে Sarchu-তে night halt না করে Keylong বা Jispa-তে করার চেষ্টা করবেন। Sarchu is notorious for its extremely cold and hostile weather during the night, which is not at all suitable for the un-acclimatised tourists.
ফেরার সময় Sarchu-তে থাকলে খুব একটা প্রবলেম হয় না, কারণ ততদিনে আপনার শরীর অভ্যস্ত হয়ে গেছে। যাওয়ার সময় অনভ্যস্ত শরীরে রিস্ক না নেওয়াই ভালো।

কেউ কেউ Keylong-এর থেকে Jispa-তে রাত কাটানো বেশি prefer করেন সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য। পাশ দিয়েই কুলকুল করে বয়ে যাচ্ছে Bhaga নদী, চাঁদনী রাতে অসাধারণ লাগে।

Q) নিজের ব্যবস্থাপনায় যাবো নাকি travel agent এর সাথে যাবো ?

Ans) এটা খুবই গোলমেলে প্রশ্ন। দুটোরই কিছু pros and cons আছে, সুতরাং কি করবেন না করবেন সেটা সম্পূর্ণ আপনার judgement-এর উপর নির্ভর করছে। আমি শুধু pros and cons-গুলো বলে দেওয়ার চেষ্টা করবো।

Pros of going through a tour operator :-

1). In this case you can be mentally assured that each and every untoward incidence, if any, will be taken care of by the tour operator provided it is a good and renowned one. Untoward incidents during Ladakh trip, though not common, are not a rarity neither, so this feeling of mental assurance does bear a significant value to say the least.

Good tour operators generally have a fleet of cars with a separate "Escort Vehicle" which moves in a group. Thus if someone suddenly gets sick due to AMS then emergency attention can safely be assured.
Moreover, in case your vehicle gets suddenly stuck due to some unforeseen issues then they will arrange to shift you in any other vehicle of the fleet. This is a very important thing in a place like Ladakh, where you will travel long distances on barren, desolate roads without having the slightest chance of human assistance within miles.

Now let's come to the cons :-

1). Going through a travel agent will obviously cost you more than a self-arranged trip, given the same hotels and vehicles in both cases.

Apart from that, you won't be able to visit any place of your own interest if it is not included in the travel package. As I said, you will be part of a group (irrespective of shared or exclusive vehicle) which will move in a specific direction.
এমনটা নয় যে সবকটা গাড়ি লাইন ধরে চলবে অথবা গায়ে গায়ে চলবে, কিন্তু গাড়িগুলির মধ্যে এমন একটা দূরত্ব বজায় রাখা হয় যেন দরকার পড়লে কয়েক মিনিটের ভিতর escort vehicle পৌঁছে যেতে পারে। আপনার ইচ্ছে হলে আপনি কোথাও গাড়ি থামিয়ে কয়েক মিনিট ছবি-টবি তুলুন বা ইয়ে করুন......তাতে কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু ইচ্ছেমতো কোনো diversion নিয়ে দশ-পনেরো কিলোমিটার দূরের কোনো spot ঘুরে নিতে পারবেন না, যদি সেটা itinerary-তে না থাকে।

Thus if you are planning to do a customised itinerary covering off-beat places which are generally not included in a travel package, then you should contact a local tour operator (preferably Leh-based) or speak directly with any experienced driver. This will save cost as well as allow you to cover places of your own choice.

However, if you can afford some extra penny and willing to visit the "must-see" attractions only, then it is advisable to go through any renowned tour operator or tour agent on whom you can safely rely upon.

Q) Should I visit both Pangong Tso and Tsomoriri, or only Pangong ?

এই তো আবার মুশকিলে ফেললেন ! কি বলি বলুন তো ? দুটো লেকই সুন্দর, দুটোরই আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে, সৌন্দর্য আছে......তবে তুলনামূলকভাবে Pangong is a much more popular tourist destination than Tsomoriri. The later one is less crowded, serene, secluded.......but lacks the glamour of Pangong Lake.  Moreover, Tsomoriri is situated at a higher altitude and even colder than Pangong. The nights of Tsomoriri are said to be among the toughest nights anywhere in Ladakh. যদি আপনার সাথে বয়স্ক বাবা-মা বা শিশু থাকে তাহলে Tsomoriri না যাওয়াই ভালো।

Accommodation in Tsomoriri : Camping is not allowed on the banks of the lake. The only option available for night stay is at camp accommodations in Karzok (or Korzok), which is adjacent to Tsomoriri lake.

এবার ভালো করে ভেবে দেখুন কি করবেন, সেইমতো ছক বানাতে হবে।

Q) Do I need any permit to visit Ladakh ?

Ans) Indian travellers did not need any ILP (Inner Line Permit) after 2014 (তার আগে লাগতো), but since this year (2017), they will need ILP to go to selected places of Ladakh, such as Pangong, Tso-moriri, etc.

Permits are issued from DC Office, Ladakh which is located at the following address :

Tourist Information Centre,
Opposite J&K Bank,
Main Market, Leh.

You need to fill up the required form and submit the application with valid Photo ID proof and fees (per person) @ Rs 400/- plus Rs 20 X no. of days in Ladakh.

জনপ্রতি একটা form, অর্থাৎ যতজন যাচ্ছেন ততগুলো form জমা দিতে হবে। অবশ্য 12 বছরের কম বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে কোনো পারমিট লাগবে না। অফিস প্রতিদিন খোলা থাকে (all working days including Saturday) সকাল 9-টা থেকে সন্ধ্যা 7-টা পর্যন্ত।

ইচ্ছে হলে আপনি online application করতে পারেন, তবে এখনও অবধি online টাকা জমা দেওয়ার কোনও ব্যবস্থা হয়নি। অতএব আপনাকে নিজের আবেদনের প্রিন্ট আউট নিয়ে সেই একই অফিসে আবার লাইন দিতে হবে ----- Form, Photo ID এবং টাকা জমা দেওয়ার জন্য। Thus as of now, the online process will merely save the time to fill up the form, nothing else.

অনলাইন লিঙ্কের অ্যাড্রেসটা নিচে দিয়ে দিলাম, যদি চান avail করতে পারেন।

http://lahdclehpermit.in

Q) Is there any upper age limit to visit Ladakh ?

Ans) No.

Q) Do I need any fitness certificate to visit Ladakh ?

Ans) No, you don't have to undergo any official fitness test, nor do you need to carry any fitness cerficate in favour of the same. But it is highly advisable to consult your doctor, tell him/her about your Ladakh trip and get evaluated for your fitness level.
কি ভাবে evaluate করতে হবে সেটা আপনার ডাক্তারবাবু নিশ্চয় জানেন।

Q) What is Acute Mountain Sickness?

Ans) সহজ কথায়, Acute Mountain Sickness বা Acute High Altitude Sickness হলো এক ধরণের আকস্মিক অসুস্থতা, যা কিনা ''দুম করে টঙে চড়লে'' হয়। অর্থাৎ বলা নেই, কওয়া নেই, আপনি কয়েকঘন্টার মধ্যে ইয়া উঁচুতে উঠে গেলেন, এদিকে আপনার শরীর সেই উচ্চতার সাথে sensitised হওয়ার সুযোগই পেল না !  ফলে কি হবে ? আপনার শরীরের কলকব্জা দিশেহারা বোধ করবে। তারা অবাক হয়ে ভাববে - ''এ কি রে ভাই, এ আবার কোথায় এলাম ? আমাদের খাদ্য (অক্সিজেন) হঠাৎ এত কমে গেল কেন ? এত কম খেয়ে আমরা কাজ করবো কি করে ?" যদি তারা এই পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে adjust করে নিতে পারে তো ভালো, নাহলে তাদের দিশেহারা ভাবটা নানান ভাবে আপনাকে বোঝানোর চেষ্টা করবে। সেই বোঝানোর প্রক্রিয়ার প্রকাশ ঘটবে কিছু শারীরিক অসুস্থতার মাধ্যমে, যাকে collectively বলা হয় AMS বা Acute Mountain Sickness.

অনেক কিছুই হতে পারে, তবে প্রধানত যেটা হয় সেটা হচ্ছে মাথা ঝিমঝিম করা বা মাথা ঘোরা, বমিভাব সঙ্গে মাথার যন্ত্রণা, বুক ধড়ফড়, শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি দ্রুত হয়ে যাওয়া এবং শ্বাসকষ্ট। অবশ্য শারীরিক অসুস্থতা হবেই এমন কোনো মানে নেই, কিন্তু ওই যে বললাম, আপনার শরীর যদি খুব তাড়াতাড়ি adjust করে না নিতে পারে তাহলেে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। সম্ভাবনা আরো বেশি আমাদের মতো সমতলবাসীর ক্ষেত্রে, কারণ এই ধরণের আবহাওয়ার সঙ্গে আমরা একেবারেই পরিচিত নই।
এমনটা নয় যে বুড়িদের হবে আর ছুঁড়িদের হবে না ! বয়স নির্বিশেষে যে কারোরই হতে পারে, কিন্তু কার হবে আর কার হবে না সেটা আগে থেকে জানা সম্ভব নয়। সেই কারণেই  Srinagar-Kargil-Leh route দিয়ে আসা বেশি ভালো, যেহেতু এই রুটে gradual elevation হয়। অপরদিকে Manali - Leh রুটের slope gradient বেশি, তাই AMS হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। আর সব থেকে বেশি সম্ভাবনা প্লেনে গেলে, কারণ সেখানে আপনার শরীর adjust করার কোনো সুযোগই পাচ্ছে না।

দয়া করে মনে রাখবেন, আমি শুধু ঝুঁকির কথাটা বললাম, কিন্তু তার মানে এই নয় যে এটাই নিয়ম। আবার বলছি, কার AMS হবে আর কার হবে না সেটা আগে থেকে জানা সম্ভব নয়।  অতএব উপায় ? উপায় জানার জন্য পরের প্রশ্নে চলে আসুন।

Q) How to minimise the risks of AMS ?

Ans) এই উত্তরটা কয়েকটা ভাগে ভাগ করে নেওয়া যাক :-

1) Give your body sufficient time for proper acclimatisation -

a). If you are going by air, then spend at least 48 hours in and around Leh before moving to high altitude areas. It is advisable to take complete rest on Day 1, except for visiting local market areas during the evening.
On Day 2, you should do the local sightseeing tour rather than going to Nubra or Pangong.
From Day 3 onwards you are fit for going wherever you like.

b). If you go by road then you are already acclimatised to some extent by the time you reach Leh. However, it is still advisable to spend at least one full day and night in Leh before moving to higher altitudes. Thus in this case too, the local sightseeing tour (Sham Valley tour) should be done first before Nubra valley trip.

2) কোনোরকম তাড়াহুড়ো অথবা লাফঝাঁপ করবেন না। সিঁড়ি দিয়ে ধীরেসুস্থে ওঠানামা করুন, সেটা হোটেলেই হোক বা অন্য কোথাও। কোনো জায়গায় হাঁটতে হাঁটতে যদি হঠাৎ সামান্যতম শ্বাসকষ্ট হয়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে বসে পড়বেন। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর শ্বাসকষ্ট কমে গেলে আবার হাঁটা শুরু করুন।

3) DIAMOX tablet :-

Till date, this is the most useful and widely used medicine to prevent AMS. The standard dose is 250 mg twice daily, which should be started 2-3 days before start of journey and continued till reaching the highest altitude. However, one should consult his/her physician for calculating the exact dose as per body weight.

একটা কমন প্রশ্ন হচ্ছে "Diamox খাবো কি খাবো না।" আমি পেশায় ডাক্তার, এবং ডাক্তারি শাস্ত্র অনুযায়ী বলবো যে রিস্ক না নিয়ে ট্যাবলেটটা খেয়ে নেওয়াই ভালো। যদি side effect-এর কথা জিজ্ঞেস করেন তাহলে বলবো প্রত্যেকটা অ্যালোপ্যাথি ওষুধেরই side-effect আছে, মায় এই মুহুর্তে আপনি যে জেলুসিলটা চুষছেন তারও ! তবে তুলনামূলকভাবে Diamox-এর side-effect কম, সুতরাং আপনার ডাক্তার যদি রাজি থাকেন তাহলে নিশ্চিন্তে খেতে পারেন।

Q) Where to stay in Leh ?

Ans) There are numerous accommodations in Leh, but none of any star category. Broadly speaking, you would find four types of accommodations---budget, standard, deluxe and premium.

Budget accommodation is suitable for the so-called 'backpackers', but not recommended for family trips.....অতএব ওটা বাদের খাতায় রাখুন।

বাকি থাকছে standard, deluxe এবং premium.
Premium category হোটেল বলতে তাদের লাক্সারি একটু বেশি, এবং সেগুলো centrally heated.
আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো যে লাদাখ ট্রিপে এই ধরণের হোটেল avoid করাই ভালো, কারণ central heating-এ আপনার থাকাটা আরামদায়ক হবে ঠিকই, কিন্তু বাইরের আবহাওয়ার সাথে যোগসূত্রটা ঠিকমতো থাকবে না। এই যোগসূত্র থাকাটা আমাদের মতো সমতলবাসীর ক্ষেত্রে খুব জরুরী, বিশেষ করে যখন আরো উঁচুর দিকে উঠবেন। Therefore my personal advice is to avoid the centrally heated hotels, even if you are financially affluent enough.

One thing must be kept in mind....Ladakh is not a place for luxury ! যেটা দরকার সেটা হলো একটা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ঘর, আরামদায়ক বিছানা, ভালো কোয়ালিটির কম্বল, ছিমছাম বাথরুম যেখানে 24 hours running hot water supply আছে, এবং ভদ্রস্থ খাওয়াদাওয়া। এর বেশি কিছু খুঁজতে যাবেন না, এটা আমার অভিমত।

বাকি থাকলো standard এবং deluxe category. আপনার বাজেট অনুযায়ী এই দুই ধরনের মধ্যে যে কোনো একটাকে choose করতে পারেন। অনেক হোটেলে রুম হিটারের ব্যবস্থা আছে, আবার কোনো কোনো হোটেল এক্সট্রা চার্জের বিনিময়ে রুম হিটার দেয়। এই ব্যাপারে আমার সাজেশন হলো আদৌ কোনো রুম হিটার ব্যবহার না করা, কারণ বদ্ধ ঘরে রুম হিটার চললে ঘরের oxygen কমে যাবে।

আরেকটা কথা, সম্ভব হলে market-এর কাছাকাছি কোনো হোটেল নেবেন, যাতে আপনার ইচ্ছা হলে একটু মার্কেটে ঘোরাঘুরি করতে পারেন অথবা বাইরে থেকে খেয়ে আসতে পারেন।

Q) What type of clothings do I need for Ladakh trip ?

Ans) Heavy-duty jackets with outer wind-proof layer (যাকে পাতি বাংলায় বলে প্যারাশুট কাপড়ের lining) are ideal for Ladakh trip. If you already have such armoury in your wardrobe then it's fine, but in case you are planning to buy some jackets, etc exclusively for your Ladakh trip, then Columbia, Woodlands or Timberland are good options (bit costly though).

You also need inner thermals, woolen caps (এক্ষেত্রে 'হনুমান টুপি'-র জবাব নেই), gloves and few pair of socks.
মোজা পরে একটানা অনেকক্ষণ করে কাটাতে হবে, অতএব বেশি সংখ্যায় মোজা নিয়ে যাওয়াই ভালো।
কয়েকটা হালকা জামাকাপড় এবং Light woolens নিয়ে যাবেন, কারণ local sightseeing-এর সময় ওগুলো লাগতে পারে, বিশেষ করে দিনটা যদি রৌদ্রজ্জ্বল হয়।

Q) What should be my essential belongings in Ladakh trip ?

1) Plenty of moisturisers, Sunscreen lotion with high SPF, Vaseline/Lip balm, Body lotion/body oil.
2) Sunglasses.
3) Sport shoes or trekking shoes .
4) A good camera, preferably DSLR.
5) Your day-to-day medicines, if any, plus Diamox tablet and some other routine drugs which people generally carry during travels, such as Tab Paracetamol  (for headache/fever/bodyache), tab Domperidone (for nausea/vomiting), ORS and Metrogyl for loose motion, some antacids, etc.

In addition to these, you should take a saline nasal drop (Otrivin-S বা Nasivion-S নামে পাওয়া যায়) for nasal congestion, কারণ লাদাখের আবহাওয়ায় নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া খুব কমন ব্যাপার।

Q) What about smoking and drinking in Ladakh ?

Ans) Smoking should be avoided, preferably totally restrained, while you are in Ladakh. ধূমপানের অন্যান্য ক্ষতির কথা বাদ দিয়েই বলছি.....লাদাখের বাতাসে এমনিতেই অক্সিজেন কম, তার মধ্যে ধূমপান করলে ফুসফুসে আরও কম অক্সিজেন ঢুকবে। ফলে it may produce or aggravate respiratory problems.

Their is a common belief that alcohol "warms up" the body in hilly and cold places, but it may produce hazardous results in a place like Ladakh where oxygen concentration is low.......কারণ মদ্যপান করলে শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি (respiratory rate) কমে যায়, ফলে যতটা পরিমাণ অক্সিজেন ফুসফুসে ঢোকার কথা তার চেয়ে কম পরিমাণ ঢোকে।

Q) What should be the guidelines of water intake in Ladakh ?

Ans) The maximum limit of fluid intake (water + tea/coffee/cold drinks or other liquids) should not exceed 3 litres per day for an adult.
প্রয়োজনের অতিরিক্ত জল বা জলীয় পদার্থ খাবেন না, কারণ তাতে pulmonary congestion-এর ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

Q) How to plan my itinerary for Ladakh trip ?

Ans). গড়পড়তা বাঙালী ভ্রমণকারীর কথা মাথায় রেখে আমি কয়েকটা model itinerary দিলাম, আপনার সুবিধামতন সেটা modify করে নেবেন। সবগুলোই family trip অনুযায়ী তৈরী করেছি। যাঁরা  Biking tour বা Trekking trip বা Cultural tour করবেন তাঁদের জন্য এই itinerary চলবে না।

প্রথম তিনটি মডেলে Tsomoriri lake-কে include করে itinerary বানিয়েছি। আপনার preference অনুযায়ী তাতে number of days বা spots বাড়িয়ে/কমিয়ে edit করে নিতে পারেন। কেউ যদি day trip করেন (to the tso-s) তাহলে প্ল্যানিংটা সেইমতো adjust করে নেবেন। আমি অবশ্য ব্যক্তিগত ভাবে Day trip-এর বিরোধী, কারণ যে লেকগুলো-তে যাবেন তাদের আসল শোভা হচ্ছে ঘন্টায় ঘন্টায় রঙ বদলানো, যেটা day trip-এর সীমিত সময়গন্ডিতে ভালোভাবে উপভোগ করা সম্ভব না। তবে হ্যাঁ, আমি ব্যক্তিগত ভাবে কি চাইছি সেটা বড় কথা নয়, আপনি ব্যক্তিগত ভাবে কি চাইছেন সেটাই বড় কথা .....অতএব সেই মতো ট্যুর প্ল্যান বানিয়ে নেবেন। আমি স্রেফ কয়েকটা খসড়া দিলাম, just for an overall guidance.

N.B :- Though there are direct routes from Nubra to Pangong and Pangong to Tsomoriri, yet I have consciously avoided those routes in all the itineraries, কারণ সেই রাস্তাগুলি আমার হিসাবে "family-friendly route" নয়......এখনও পর্যন্ত ! এই রাস্তাগুলির কোনও নির্ভরযোগ্যতা নেই। দুমদাম landslide হয়ে আটকে যায়, আবার কখনও হয়তো বরফগলা জল জমে যান-চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এমনটা নয় যে সবসময় এরকম হবে, তবে আপনি যখন যাবেন তখন হবে কিনা সেটা কি করে বলবো ? যদি আপনার tour agent আশ্বাস দেয় যে এই পথে কোনো প্রবলেম হবে না সেটা অন্য কথা, কিন্তু ওইভাবে তো আর generalised tour plan বানানো যায় না, তাই না ? সেই জন্য ওই রুটগুলো বাদ দিলাম।

এছাড়া আরো একটা কারণ আছে ওই রুটগুলো avoid করার। আমি আগেই বলেছি যে গড়পড়তা বাঙালীর family trip-কে focus করে এই পোস্টটা লেখা, অতএব প্ল্যানটা এমন হওয়া উচিত যাতে যতদূর সম্ভব comfortable tour হয়, given the conditions of Ladakh.
এই সরাসরি রুটগুলো সে ক্ষেত্রে পরিত্যাজ্য হওয়াই বাঞ্ছনীয়, কারণ staying at places like Pangong, Tso-moriri, Nubra, Turtuk, etc takes a definite toll on the average bong physique, and it's rather an assault to the body if you spend 2-3 nights at a stretch at those places. In such circumstances, coming back to Leh after a night's stay acts as a buffer or shock-absorber to the body. আপনি একটা কষ্টকর জায়গা থেকে একরাত কাটিয়ে Leh-তে ফিরলেন, ভালো করে বিশ্রাম নিলেন, ঘুমোলেন, পরেরদিন স্নান-টান করে একদম ফ্রেশ হয়ে আরেকটা কঠিন জার্নির জন্য প্রস্তুত হলেন------এটা অনেক ভালো। এতে শরীরও বিশ্রাম পায়, ফলে বেড়ানোটাও অনেক উপভোগ্য হয়ে ওঠে।

আমার যেটুকু বলার বললাম, বাকিটা আপনার ব্যাপার। এবার চলে আসুন বেড়ানোর ছকগুলো দেখে নেওয়া যাক।

(A). Model itinerary for both-way road journey :-

Day 1 : Srinagar - Kargil
(Srinagar- Sonmarg -Zozi La – Drass – Kargil)

Day 2 : Kargil - Leh (Via Lamayuru, if possible).
সম্ভব হলে Drass War Memorial এবং Hunderman border village দেখে নেবেন। এই গ্রামটা Kargil থেকে মাত্র 8 (আট) কিলোমিটার দূরে। এখান থেকে পাকিস্তানের দিকটা দেখা যায়।

Day 3 : Local sightseeing at Leh.

Day 4 : Leh – Nubra, overnight at Nubra

Day 5 : Nubra - Leh (visit Diskit Monastery, and if time permits, go to Sumur - Panamik - then back to Leh via Khardung-La)

Day 6 : Leh - Pangong, overnight at Pangong.

Day 7 : Pangong - Leh.

Day 8 : Leh local sightseeing (Monastery tour)

Day 9 : Leh - Tsomoriri via Chumathang, overnight at Karzok.

Day 10 : Tsomoriri - Sarchu
(Tso Moriri – Tso Kar – Debring – Moore Plains)

Day 11 : Sarchu – Manali (Sarchu – Baralacha La – Keylong – Rohtang Pass)

Day 12 : Departure from Manali for return journey.

(B). Model itinerary for inward journey by road and outward journey by flight :-

Day 1 : Manali - Keylong/Jispa, overnight at Keylong/Jispa.

Day 2 : Keylong/Jispa - Leh, overnight at Leh.

Day 3 : Local sightseeing  (Sham Valley tour)

Day 4 : Leh – Nubra, overnight at Nubra

Day 5 : Nubra - Leh (visit Diskit Monastery, and if time permits, go to Sumur - Panamik - Sumur - then back to Leh via Khardung-La)

Day 6 : Leh - Pangong, overnight at Pangong.

Day 7 : Pangong - Leh.

Day 8 : Leh - Tsomoriri via Chumathang, overnight at Karzok (Korzok).

Day 9 : Tso Moriri – Leh (Tsomoriri - Tso Kar – Debring - Taglang La – Upshi – Leh)

Day 10 : Leh local sightseeing (Monastery tour)

Day 11 : Depart from Leh by return flight.

(C). Model itinerary by to-and-fro flight journey :-

Day 1 : Arrive at Leh, full day rest, evening walk at nearby market.

Day 2 : Local sightseeing  (Sham Valley tour)

Day 3 : Leh – Nubra, overnight at Nubra

Day 4 : Nubra - Leh (visit Diskit Monastery, and if time permits, go to Sumur - Panamik - Sumur - then back to Leh via Khardung-La)

Day 5 : Leh - Pangong, overnight at Pangong.

Day 6 : Pangong - Leh.

Day 7 : Leh - Tsomoriri via Chumathang, overnight at Korzok.

Day 8 : Tso Moriri – Leh (Tsomoriri - Tso Kar – Debring – Taglang La – Upshi – Leh)

Day 9 : Leh local sightseeing (Monastery tour)

Day 10 : Depart from Leh by return flight.

(D) Most common itinerary :-

Day 1 : Arrive at Leh by road or flight, take rest.

Day 2 : Local sightseeing  (Sham Valley tour)

Day 3 : Leh – Nubra via Khardung-La, overnight at Nubra

Day 4 : Nubra - Leh via Khardung-La, after visiting Diskit Monastery.

Day 5 : Leh - Pangong via Chang-La, overnight at Pangong.

Day 6 : Pangong - Leh via Chang-La.

Day 7 :  Leh local sightseeing (Monastery tour)

Day 8 : Depart from Leh by flight.

আর কি, এবার তাহলে বেরিয়ে পড়ুন ! Happy Journey.......

Friday 26 January 2018

An uncertain Darjeeling tour - হটাৎ আকস্মিক দার্জিলিং ভ্রমন


An uncertain Darjeeling tour - হটাৎ আকস্মিক দার্জিলিং ভ্রমন 

Anway Mondal








কর্মসূত্রে আপাতত উত্তরবঙ্গই ঠিকানা। একঘেয়ে কাজ করতে করতে বৃহস্পতিবার মাঝরাতে পুরনো বন্ধুর ফোন-"ভাই দার্জিলিং যাবি !!একমুহূর্ত না ভেবে বললাম আমার তো শনি রবি ছুটি চল শুক্কুর বার রাতে শিলিগুড়ি চলে আসছি অফিস সেরে ।তারপর ভোর ভোর বেরিয়ে যাবো দার্জিলিং।সেই মতো আমি আর আমার রুম মেটরা বেরিয়ে পড়লাম ওরাও রাজি। আগে যেখানে গেছি সবই প্ল্যান করে। এটা একদম uncertain.. এবার journey এর কথায় আসি..
রাত 11 tai শিলিগুড়ি পৌঁছে junction এর কাছে একটা হোটেল এ থেকে গাড়ির ব্যবস্থা করলাম মিরিকের রাস্তাটা দিয়ে যাবো। সেই মতো কথা বলে নিয়ে ড্রাইভার কে বললাম ভোর 5 টায় চলে আসতে। তো সবাই মিলে সাড়ে পাঁচটায় পড়লাম বেরিয়ে। সুন্দর রাস্তা, যদিও মিরিক হয়ে দার্জিলিং গেলে ভাড়া একটু বেশি পরে গাড়ির তবুও কুচ পরোয়া নেহি। একেবারে মিরিক পৌঁছে লেকের ধারে সকালের জলখাবার এবং কিছুটা হেটে আবার গাড়ি ধরলাম একটু পরেই আসলো পাইন বন। কি সুন্দর প্রকৃতির রূপ, তখনও খুব ঠান্ডাটা পড়েনি, খুব মনোরম আবহাওয়া, প্রকৃতির রূপ উপভোগ করতে করতে পৌঁছে গেলাম দার্জিলিং প্রায় এগারোটা।
তারপর একটা surprise..বন্ধুটা আগেই হোটেল বুক করে রেখেছিল,মনটা বেশ খুশিতে ভরে গেল। যাক কোনোরকমে একটু ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে পড়লাম ঘুরতে দার্জিলিং zoo টা বেশ সুন্দর। ওখানে কিছুটা সময় কাটিয়ে চলে গেলাম Himalayan mountenring institute . ওখানে কিছুটা সময় কাটিয়ে চলে গেলাম টি এস্টেট ও,চা বাগানের অপরূপ সৌন্দর্য মন টা ভরিয়ে দিলো। ওপর থেকে যত নিচের দিকে তাকাই ততো বেশ একটা অপুর্ব অনুভূতি হয় বলে বোঝানো সম্ভব নয়, চা বাগানের পাশে যে চা টা খেলাম তার স্বাদের ভাগ হবে না,অতুলনীয়। রাতেএলাম ম্যাল এ, তারপর ম্যাল থেকে ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে রইলাম চিরনবীন কাঞ্চনজজ্ঞার দিকে, শুভ্র চূড়া মনের মধ্যে একটা শান্তি নিয়ে এলো। তারপর ভোজনরসিক বাঙালীর র কি বাকি থাকে!!! চললো ভালো restro র খোঁজ। ম্যাল এর একটু কাছেই ছিল kfc এর opposite এ Glenary's Bakery & Cafe ওখানে খানা পিনা সেরে রাতে গপ্পো আর ঘুম..
তারপর দিন হোটেল থেকেই গাড়ি ঠিক করা ছিল সকাল সাড়ে চারটেয় উঠে বেরিয়ে গেলাম টাইগার হিল এর উদ্দেশ্যে। ভাগ্য সহায় থাকলে যা হয় আর কি..একফালিও মেঘ ছিলো না যে আমাদের সূর্যোদয় দেখা থেকে বিরত রাখতে পারে..ওখানে সূর্যদয় দেখা একটা আলাদা অনুভূতি প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে, আগে ছোট বেলায় দেখেছিলাম মনে ছিল না😝😝
তারপর বতাসিয়া লুপ, গঙ্গামাইয়া পার্ক, রক গার্ডেন , মনেস্ট্রি ঘুরে ফিরতে ফিরতে বিকাল 4 টে। তো সবকিছু ঘোরা শেষ হলে চলে গেলাম ম্যাল মার্কেট এ। দোকানে কিছু সস্তায় গরম জামাকাপড় কিনে রাতে ঢুকলাম Joey's pub এ। বেশ সুন্দর জায়গা এবং বেশ সস্তার, একটু সুয়ার খেলাম, বেশ ভালোই লাগলো। জাত গেল কিনা জানি না।😉😉তারপর খানা পিনা করে সটান ঘুম..এবার ফিরে যাবার পালা..
খুব ইচ্ছে করছিল আরো দুদিন থেকে যেতে পাহাড়ের কোলে শান্তিতে দুদিন ঘুমিয়ে থাকতে ..কিন্তু পেটের দায়ে সকাল 5 tai গাড়ি ধরে ফিরে এলাম সমতলে,ফেরার সময় বাড়তি পাওনা হিসাবে সূর্যোদয়.. যেন খানিকটা দম পেলাম নতুন করে বাঁচার... বয়সটা কিছু কমে গিয়েছিল মনে হলো, মনে হয়েছিল কলেজ জীবনে ফিরে গেছিলাম দু দিন..আবার সোমবার...আবার ব্যস্ত জীবন...
এই uncertain journey টা বলে গেল যেন- দূরবীনে চোখ না রেখেও মাঝে মাঝে বেরিয়ে পড়তে হবে অজানার উদ্দেশ্যে, তবেই পাওয়া যায় বেঁচে থাকার রসদ। 😊😊
ছবিগুলো রইলো স্মৃতি হিসাবে...♥️♥️
P.c- #me #one_plus_5 সময়ের অভাবে ক্যামেরাটা জোগাড় করতে পারিনি, নাহলে ছবি গুলো আরো সুন্দর আসতো..
 #trees #tree #mountain #mountains  #beautiful #beautiofbc #backpackersantuary #adventureideas #adventure #countrygirl #lake #lakes #britishcolumbia #explorebc #parkscanada #ourbc #cheaptravel #travelcheap #travelsnaps #travelsnaps #tvvt #travalour #iamtb #roamtravels #treadedtravels #theworldguru #expediapic #lovetheworld #livetravelchannel #intrepidtravel #topdecker #village #green #scenery #tour #travellife #tours #tourindia #traveltheworld #travel #travelblogger #traveler #jungle #satkoshia #orissatourism #angul #tiger #core #area #crocodile #nature #naturephotography #video #দার্জিলিং#Darjeeling #mirik #Siliguri 

Tuesday 23 January 2018

যেখানে আকাশ ছুঁয়েছে মাটিকে। ধোত্রে-টংলু-তুমলিং

। যেখানে আকাশ ছুঁয়েছে মাটিকে। ধোত্রে-টংলু-তুমলিং।।
।। প্রথম পর্ব- ধোত্রে।।
“Great things are done when men and mountains meet; This is not done by jostling in the street.”
(William Blake)

আমরা তুমলিং যাবো।
যা কথা তাই কাজ, হইহই করে টিকিট কাটা হয়ে গেল, এবার শুধু যাবার অপেক্ষা।
সেই দিনটাও চলে এলো আস্তে আস্তে একদিন। কথা মতো সবাই তাড়াতাড়ি বেড়িয়ে শিয়ালদা স্টেশন চলে এলাম। যথা সময়ে ট্রেনে উঠে পরের দিন NJP পৌঁছালাম। গ্রুপ ট্রিপ, তাতে কোনো গন্ডগোল হবে না তা কি হয় নাকি। একেই ট্রেনটা আড়াই ঘণ্টা লেট। তার উপর মানেভঞ্জন পৌঁছে জানলাম গেট বন্ধ, তুমলিং যাবার গাড়ি আর যাবে না। এমনকি ট্রেক করেও ওঠা যাবে না। ওখানেই আমাদের রাত কাটাতে হবে। মন কিছুতেই মানছে না। এতদূর এসেও যাওয়া হবে না, এটা কিছুতেই মানতে পারছিলাম না আমরা। যাইহোক অনেক আলোচনা, কথাবার্তার পর ঠিক হলো, তুমলিং না হোক আজ রাতটা আমরা ধোত্রে তে কাটাবো।

ল্যান্ডরোভার করে চললাম আমরা ধোত্রে। এই ল্যান্ডরোভার গুলো এক অদ্ভুত সুন্দর গাড়ি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কিছু পরে ব্রিটিশ রা (চা বাগানের মালিক) ল্যান্ডরোভার নিয়ে আসে দার্জিলিং আর আসাম চা বাগান গুলোতে। ব্রিটিশ রা চলে যাবার পর লোকাল মানুষরা গাড়ি গুলো কিনে নেয় এবং তাদের দৈনন্দিন ব্যাবহারের কাজে লাগায়। মানেভঞ্জন এ সিঙ্গালীলা ল্যান্ডরোভার এসোসিয়েশনের কর্তা অনিল তামাং এর সাথে কথা বলে জানতে পারলাম এখানে নাকি এখনো কিছু Series I ল্যান্ডরোভার আছে যেগুলো UK রোভার কোম্পানি 1948 সালে লঞ্চ করে আমস্টারডাম মোটর শো তে। আমাদের গাড়ি চালক কেশর গুরুং যে গাড়ীটায় আমাদের নিয়ে গেল সেটা একটা 1954 এর সিরিজ III ল্যান্ডরোভার যেটা উনি উনার বাবার থেকে পেয়েছেন। ল্যান্ডরোভারে চেপে আমরা পৌছালাম ধোত্রে। ধোত্রে !! ছবির মতো সুন্দর একটা গ্রাম। যেখানে খুশি আপনি দাঁড়ান, কাঞ্চনজঙ্ঘা এর অমোঘ রূপ আপনাকে নিরাশ করবে না। ঝাউ, পাইন এর জঙ্গলে বন্য জীবনকে দেখুন একদম কাছ থেকে। ছুঁয়ে দেখুন পাহাড়ের কোলে লালিত এই গ্রামের আনাচ কানাচ, অথবা চলে যান পাকদন্ডী দিয়ে কাছাকাছি নাম না জানা বসতি গুলোতে, দেখুন না প্রকৃতি মায়ের কোলে পথের কোন বাঁকে সেই হারানো “আমি”টাকে দেখতে পাওয়া যায় কিনা? ধোত্রে তে পরিচয় ফাণ্ড লামার সাথে। ওর কথায় ধোত্রে তে বিরাশি পরিবারের বাস, আর এরা সবাই সবার আত্মীয়। কি অদ্ভুত আর সুন্দর তাই না!!



ক্যাম্পফায়ারে বসে ছোটবেলার স্মৃতি রোমন্থন আর গান এ এক অসাধারণ অনুভূতি। সত্যি বলছি ওরকম নির্মল আকাশ আমি খুব কম দেখেছি। আকাশের দিকে তাকিয়ে মনে হবে তারা গুলো যেন আপনার সাথে কথা বলছে। মাথার ওপর জ্বলজ্বল করছে সপ্তর্ষিমণ্ডল , কালপুরুষ , লুব্ধক। ক্যাম্পফায়ার এর নেবা আঁচের আগুন, পরিষ্কার জ্বলজ্বলে আকাশ, সামনে চাঁদের আলোয় রুপালি কাঞ্চনজঙ্ঘা আর সাথে ব্যাকগ্রাউন্ড এ বাজছে শচীন কর্তার " বর্ণে গন্ধে ছন্দে গীতিতে..." আপনাকে বাধ্য করবে বার বার পাহাড়ে ফিরে আসতে। এক মুহূর্তে একটা অন্য আমি এর সামনে দাঁড় করিয়ে দেবে। নির্মল আকাশের দিকে তাকিয়ে ওই ঠাণ্ডাতে campfire এর পাশে ঘাসের উপর শুয়ে আকাশের তারা গুনতে গুনতে কখন যে সময় চলে যায় বোঝা ই যায় না।




এত অল্প সময়, সবাই চাইছে যতটা সম্ভব স্মৃতি সংগ্রহ করে নিতে যাতে আগামী কিছু মাস অনায়াসে জাবর কেটে চালিয়ে নেওয়া যায়। শুয়ে বসে থাকতে থাকতে মনে হচ্ছিলো এই রাত যেন শেষ না হয়। দরকার নেই সকাল আসার। চিরকাল যেন কাটাতে পারি এরকমই আকাশের নীচে।

Wednesday 17 January 2018

Dhenkanal Orissa : The Gajalaxmi Palace

#Dhenkanal : The road less travelled.








রাত প্রায় ন'টা। চারিদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। ঘন্টাখানেক আগে সেই যে কারেন্ট চলে গেছে এখনও তার আসার নাম নেই। কিছুক্ষণ আগে পর্যন্ত একটা রোগাপটকা চাঁদ আকাশের এককোণে পিটপিট করছিলো, কিন্তু মস্তান টাইপের ক'টা মেঘ এসে মুহূর্তের মধ্যে তাকে ধরাশায়ী করে ফেলেছে। আশপাশের কোনো বাড়ি থেকে যে একটু আলো আসবে সে সম্ভাবনাও নেই, কারণ কয়েক মাইলের মধ্যে কোনো বাড়িই নেই। মূল শহর থেকে অনেকটা দূরে ঘন জঙ্গলে ঘেরা পাহাড়ের উপর এই একটাই বাড়ি। নাম 'গজলক্ষী প্যালেস',' স্থানীয় লোকেরা বলে রাজবাড়ি। বাড়ির পিছনেই আরেকটা বড় পাহাড়, আর চারিদিকে শুধু জঙ্গল। সেই জঙ্গলে দিনদুপুরে হাতি ঘুরে বেড়ায়।

এই ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যে আপনি ঠায় একঘন্টা ধরে একই জায়গায় বসে আছেন। জায়গা বলতে দোতলার খোলা ছাদ, যাকে বাংলায় terrace বলে। আপনার একটু ভয় ভয় করছে, আবার রোমাঞ্চও লাগছে। কিছুক্ষণ আগে অবধি একটা গুমোট ভাব ছিল, কিন্তু এখন বেশ ফুরফুরে হাওয়া বইছে। হাওয়ার মধ্যে কেমন যেন নেশা ধরানো গন্ধ। কিসের গন্ধ এটা ? মহুয়া ফুলের ? এখানে কি মহুয়া গাছ আছে ? থাকতেই পারে ! এত বড় জঙ্গলে মহুয়া গাছ থাকবে না তা কি হয় ? আচ্ছা, কি একটা প্রাণী আছে না যারা মহুয়া ফুল খেতে খুব ভালোবাসে ? ভাল্লুক কি ? নাকি অন্য কিছু ? নাহ, কিছুতেই মনে পড়ছে না। আজকাল আর কিছুই মনে থাকে না। সারাক্ষণ শুধু ডেবিট-ক্রেডিট, সেলসের টার্গেট, বসের ঝাড়, মিটিং, ওদিকে আবার ইউনিয়নের নেতাদের তেল মাখানো----ধুসস ! লাথি মারি অমন চাকরির মুখে। সব ছেড়েছুড়ে একদিন এই জঙ্গলে চলে আসবো। নে শালা, এবার কত ডেবিট ক্রেডিট নিবি নে ! হাঃ হাঃ হাঃ......

এইসব হাবিজাবি চিন্তা করতে করতে আপনি অলস ভাবে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালেন। টানা লম্বা দরদালান, তার ওপাশে ড্রইংরুম। ড্রইংরুমের টেবিলে একটা মোমবাতি জ্বলছে। কষ্টিপাথরের মতো জমাট কালো অন্ধকার, তার মধ্যে এক রহস্যময় শিখা। শিখাটার দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকলে কেমন যেন গা শিরশির করে, মনে হয় কোনো একচক্ষু প্রেত নির্নিমেষ দৃষ্টিতে আপনাকে দেখছে। ইশ, কয়েকটা ভুতের গল্পের বই আনলে বেশ হতো। বড়দের হরর স্টোরি না, সেই ছোটবেলায় পড়া ভুত-পেত্নীর গল্প, যে গল্পগুলো পড়ে মনে মনে বলতেন - "হে ভগবান, রাত্তিরে যেন হিসু না পায়।"
এখন নাহয় ফ্ল্যাটে থাকেন, কিন্তু তখন তো আর ফ্ল্যাটে থাকতেন না, থাকতেন সেই নিজেদের একতলা বাড়িটাতে। উঠোন পেরিয়ে বাথরুম, তার পিছনে পাঁচিল, আর পাঁচিলের গায়ে একটা ঝাঁকড়া তেঁতুলগাছ।  আহা, কি সব দিন ছিল !

শৈশবের কথা ভাবতে ভাবতে আপনি আনমনা হয়ে গিয়েছিলেন, হঠাৎ একটা পায়ের শব্দে চটক ভেঙে গেল। যেন খুব কাছেই কেউ হেঁটে বেড়াচ্ছে। আপনি তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে এদিক ওদিক তাকালেন, কিন্তু ঘরের ভিতরের আবছা আলোয় কাউকে দেখতে পেলেন না। এমনই কপাল যে ঠিক সেই মুহূর্তে একটা দমকা হাওয়ায় মোমবাতিটাও নিভে গেল। এখন চারিদিকে শুধু চাপ চাপ অন্ধকার, তার মধ্যে আপনি, আর আপনাকে ঘিরে এক রহস্যময় পদশব্দ - "ঠক, ঠক, ঠক !"

আওয়াজটা ধীরে ধীরে আপনার দিকে এগিয়ে আসছে। বুনো ফুলের গন্ধটা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। আপনার স্নায়ু অবশ হয়ে আসছে, মনে হচ্ছে এক্ষুনি বোধহয় অজ্ঞান হয়ে যাবেন। শরীরের শেষ শক্তিটুকু জড়ো করে আপনি চেঁচিয়ে উঠতে গেলেন, কিন্তু গলা দিয়ে আওয়াজ বেরোলো না।

পায়ের শব্দটা এবার থেমে গেছে।
আপনি দম বন্ধ করে অবধারিত নিয়তির প্রতীক্ষা করছেন, ঠিক তখনই কে যেন ফ্যাঁসফ্যাঁসে গলায় বলে উঠলো - "ডিনার রেডি হ্যায় সাব। লাগা দুঁ ?"

না, কোনো রহস্য রোমাঞ্চ উপন্যাস বা ভূতের গল্প ফাঁদতে বসিনি। অতটা এলেম আমার নেই। যেটা বলছিলাম সেটা আমার নিজেরই অভিজ্ঞতা। যদি আপনিও এই অভিজ্ঞতার শরিক হতে চান তো চলুন আমার সাথে, কটক থেকে মাত্র পঞ্চান্ন কিলোমিটার দূরে ওড়িশার আরেকটা জেলা ঢেঙ্কানলে।

ঢেঙ্কানল জায়গাটা তথাকথিত ট্যুরিস্ট স্পট হিসাবে তেমন পপুলার নয়, আর সেই জন্যই আদিম ভাবটা এখনও হারায়নি। লোকজন এখানে আসে না তা না, তবে তুলনায় কম। যারা আসে তারা সাধারণত একরাত থাকে, বড়জোর দু'রাত। থাকার জন্য ঢেঙ্কানলে কয়েকটা হোটেল আছে বটে, তবে আপনাদের যেখানে নিয়ে যাবো সেটা কোনো হোটেল নয়, প্রাসাদ ! প্রাসাদের নামটা আগেই বলেছি, মনে আছে ? জানি মনে নেই। অচেনা নাম তো, মনে না থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে নামটা অচেনা হলেও প্রাসাদটা কিন্তু আপনারা অনেকেই দেখেছেন, কারণ "রয়েল বেঙ্গল রহস্য" সিনেমার শ্যুটিং হয়েছিল এই প্রাসাদেই। নামটা আরেকবার বলে দিচ্ছি - গজলক্ষী প্যালেস। আশা করি এবার আর ভুলবেন না।




প্রাসাদটা মূল শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে একটা নির্জন টিলার মাথায় অবস্থিত।  টিলার গা বেয়ে আরেকটা পাহাড় উঠে গেছে। পুরো জায়গাটাই জঙ্গলে ঢাকা, আর সেই জঙ্গলে নাকি হাত বাড়ালেই হাতি ! কথাটা অতিরঞ্জিত তাতে সন্দেহ নেই, তবে হাতি সত্যিই আছে ! বস্তুত হাতির কারণেই প্রাসাদটার নাম "গজলক্ষী প্যালেস।"  চলুন এবার তাহলে সেখানে যাওয়া যাক।

হাওড়া থেকে প্রথমে কটক চলুন, তারপর স্টেশন থেকে গাড়ি নিয়ে নেওয়া যাবে।  কটক থেকে ঢেঙ্কানলের দৃরত্ব পঞ্চান্ন কিলোমিটার, সময় লাগবে মোটামুটি দেড়ঘন্টা। হাওড়া থেকে ডাইরেক্ট ট্রেনও আছে, তবে হপ্তায় একবার। ইচ্ছে হলে ভুবনেশ্বর থেকেও যেতে পারেন। খুব একটা দূর না, জাস্ট আশি কিলোমিটার।

গাড়িতে যেতে যেতে দৃর থেকে প্রাসাদের লোকেশন দেখেই আপনার চোখ টেরিয়ে যাবে। গেট দিয়ে ঢোকার আগে পর্যন্ত সেই চোখ ট্যারানো ভাব থাকবে, কিন্ত বাড়িটা দেখার পর প্রাথমিক ভাবে একটু হতাশই হবেন। নামে প্রাসাদ হলেও আকৃতিতে একটা বড়সড় বাংলো বই কিছুই না। বাংলোটা তৈরি হয়েছিল রাজামশাইয়ের প্রমোদভবন হিসাবে, তবে বছর কয়েক হলো বাড়ির একটা অংশ homestay হিসেবে চালু করা হয়েছে। বর্তমান কুমারবাহাদুর শ্রী জে. পি. সিংদেও এটার দেখাশোনা করেন, সঙ্গে তাঁর স্ত্রী রাণী নবনীতা। বেশি লোক এখানে আসে না, কারণ জায়গাটার হদিশ খুব বেশি লোক জানে না। যারা আসে তারা অধিকাংশই বিদেশী, সম্ভবত সেই কারণেই ঢেঙ্কানলের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী ভাড়াটা লক্ষণীয় ভাবে বেশি। পার ডে পার রুম সাড়ে ছ'হাজার টাকা ভাড়া, দুজনের থাকা এবং তিনবেলা খাওয়া সমেত। এক্সট্রা কেউ গেলে আরো দেড় হাজার লাগবে।
সুযোগ সুবিধা বলতে যে বিশাল কিছু পাবেন তাও না। ঘরগুলো বিশাল, বাথরুমটাও বাড়াবাড়ি রকমের বড়, কিন্তু ঘরে এ.সি. নেই, টিভি নেই, এমনকি জেনারেটর থাকলেও খুব দরকার না হলে সেটা চালানো হয় না। ফরেনারদের কাছে এটাই নাকি জায়গাটার 'USP', কারণ বেশি আধুনিক হলে জঙ্গল-জঙ্গল ভাবটা থাকতো না।



আমরা কোনো ফরেনার নই, নেহাতই ভেতো বাঙালী, অতএব আমরা ভাবতেই পারি যে এত টাকা দিয়ে এখানে থাকতে যাবো কোন দুঃখে ?
প্রশ্নটা অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত, যার উত্তরে আমি বলবো স্রেফ একটা কারণেই থাকবেন, সেটা হলো এর লোকেশন। এরকম লোকেশন লাখ টাকা দিয়েও মেলে না। আশেপাশে বাড়িঘর বলতে কিস্যু নেই, টিলার মাথায় শুধু এই একটাই বাড়ি। পিছনে জঙ্গলে ঘেরা পাহাড়, আর চারিদিকে শুধু জঙ্গল আর জঙ্গল। প্রাসাদের পিছনদিকে কিছুটা গেলেই একটা বড়সড় পুকুর, সেখানে প্রায়ই নাকি হাতিরা জল খেতে আসে।

রাজবাড়ির খাওয়াদাওয়া খুব ভালো। রাণী নবনীতা রাজস্থানের রাজপরিবারের মেয়ে, এদিকে আবার দারুন রাঁধুনি। তাঁর তত্ত্বাবধানেই অতিথিদের রান্নাবান্না হয়। হোটেলের মতো অনেকরকম পদ তা না, তবে সবগুলো পদই ভীষণ সুস্বাদু।
মোটকথা, কল্পনাতীত একটা পরিবেশে তিন-চার দিনের ছুটি কাটানোর জন্য আদর্শ জায়গা এই গজলক্ষী প্যালেস, তবে একটু খরচসাপেক্ষ ঠিকই !



চলুন এবার আপনাদের একটু সাইটসিইং-এ নিয়ে যাই। ঢেঙ্কানলে বেশ কয়েকটি ট্যুরিস্ট স্পট আছে, তবে কোনোটাই বহুল প্রচারিত নয় বলে ভিড়ভাট্টা কম। প্রথমে চলুন কপিলাস মন্দির। পাহাড়ের মাথায় অবস্থিত এই শিবমন্দিরটি স্থানীয়দের কাছে খুব জাগ্রত স্থান বলে পরিচিত। মন্দিরে ওঠার রাস্তাটা দারুণ। পাকদণ্ডী বেয়ে বেয়ে উঠতে হয়, নিচে ঢেঙ্কানল শহরের বার্ডস্-আই ভিউ। দারুণ লাগে দেখতে !

এরপর আপনাদের যেখানে নিয়ে যাবো তার নাম সপ্তশয্যা। এটাও একটা পাহাড়ের উপর অবস্থিত। জায়গাটার নৈসর্গিক দৃশ্য অত্যন্ত মনোরম, বলাই বাহুল্য। পৌরাণিক মতে এখানে নাকি রামচন্দ্র অ্যান্ড কোং তাঁদের বনবাসকালে সপ্ত দিবস এবং সপ্ত রজনী যাপন করেছিলেন। সেই সময়ে সপ্তর্ষিমন্ডলের সেই সাত ঋষি এখানে এসে যজ্ঞ করেন। জায়গাটায় সব মিলিয়ে সাতটা পাহাড় আর সাতটা ঝর্ণা আছে, তবে আমি গুনে দেখিনি। আপনাদের ইচ্ছে হলে গুনে নিন।

এরপর যেখানে আমরা যাবো সেটা সত্যি বেশ ইউনিক জায়গা। জায়গাটার নাম "জোরন্দা" (Joranda), ঢেঙ্কানল থেকে আনুমানিক বত্রিশ কিলোমিটার দূরে। এটা হলো বিশ্বের নবীনতম ধর্মের পীঠস্থান, যার নাম "মহিমা ধর্ম।" এই ধর্মের লোকজন কোনো জাতপাত মানে না, বর্ণ মানে না, এমনকি সাকার বা নিরাকার কোনো ঈশ্বরও মানে না। যাঁকে পূজো করা হয় তিনি হলেন "শূন্য"...... মহাশূন্য !
মন্দির আছে, তবে তার ভিতরে কিস্যু নেই। সব ভোঁ-ভাঁ, শূন্য। সেই শূন্য মন্দিরকেই এঁরা পুজো করেন। যাঁরা আছেন তাঁরা সবাই কৌপীনধারী সাধু, আর বিশাল তাঁদের জটা। মাঘ মাসে এখানে বাৎসরিক উৎসব হয়, তখন নাকি তিল ধারনের জায়গা থাকে না।

সব মিলিয়ে পুরো ব্যাপারটা খুব ইন্টারেস্টিং লাগলো। ধর্ম তো বোধহয় এরকমই হওয়া উচিত, তাই না ? কোনো জাতপাত থাকবে না, বর্ণ থাকবে না, ঈশ্বর থাকবে না, থাকবে এক এবং একমাত্র সেই মহাজাগতিক শূন্য !


এবার চলুন "ডোকরা গ্রামে" যাওয়া যাক। ডোকরা শিল্পের জন্য বিখ্যাত এই গ্রামটি ঢেঙ্কানলের মূল শহর ছাড়িয়ে বেশ কিছুটা দূরে অবস্থিত। পাহাড়ের পাদদেশে কয়েকঘর ডোকরা-শিল্পীর বাস, তাঁরা পুরুষানুক্রমে এই একই কাজ করে যাচ্ছেন। প্রথমে পোড়ামাটির ছাঁচ তৈরি করে তার উপর কালো মোমের ডিজাইন বানানো হয়, তারপর সেই ডিজাইনের উপর অদ্ভুত কায়দায় গলিত পিতল ঢেলে সেটাকে জমাট করা হয়। জমে যাওয়ার পর পিতলে সেই ছাঁচটা বসে গিয়ে তৈরি হয় অপূর্ব সব মূর্তি।
ইচ্ছে হলে কয়েকটা মূর্তি কিনে নিয়ে যেতে পারেন। এখানে যেটা দরদাম করে একশো টাকায় কিনবেন সেটাই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত "FIXED  PRICE"- ছাপ মারা মহার্ঘ শোরুমে কমসে কম চারশো নিরানব্বই টাকায় কিনতে হবে, তাও আবার সুন্দরী সেলস্ গার্লের সাথে ইংরেজীতে কথোপকথনের টেনশন মাথায় নিয়ে।



এবার কোথায় যাবেন ? সাতকোশিয়া ? নো প্রবলেম, ইচ্ছে হলে যেতেই পারেন। এখান থেকে মাত্র একশো তিরিশ কিলোমিটার, সর্বসাকূল্যে ঘন্টা তিনেক লাগবে। সকালে বেরিয়ে সন্ধ্যায় আবার ঢেঙ্কানল ফিরতে পারেন, অথবা এখানে দু-তিনদিন কাটিয়ে একেবারে সাতকোশিয়া চলে যেতে পারেন। নেচার ক্যাম্পে দু’দিন অ্যাডভেঞ্চার করে বাড়ি ফিরে যান, সব মিলিয়ে একটা দারুন ট্যুর হয়ে যাবে।

যাইহোক, অনেক অকাজের কথা বললাম, এবার কাজের কথায় আসি। কথাটা হলো যে ঢেঙ্কানলের আসল মজা পেতে হলে ট্যুরিস্ট স্পট ঘুরে কিন্তু লাভ নেই ! যদি সত্যিই আনন্দ পেতে চান তাহলে নিজের মতো ঘুরে বেড়ান, যেদিকে দু'চোখ যায়। দেখবেন উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘুরতে ঘুরতে নিজেই কত স্পট আবিস্কার করে ফেলবেন।

রাস্তা ধরে হাঁটতে হাঁটতে দূর পাহাড়ের দিকে তাকান। সামনে বিস্তীর্ণ ক্ষেত, পিছনে পাহাড়, একটু দূরে কূলকূল করে বয়ে যাচ্ছে কোনো নাম না জানা নদী। ওগুলো সব আপনার !

ছুটে চলে যান মাঠে, হাঁটতে থাকুন আলপথ ধরে, নদীর জলে পা নাচাতে নাচাতে তারস্বরে গান ধরুন, হা-হা করে হাসুন, অথবা হৃদয়ের গহীন গোপন কুঠুরিতে দীর্ঘদিন জমিয়ে রাখা দুঃখগুলো কান্নার জলে ভাসিয়ে দিন।
যা ইচ্ছা করুন। সারাজীবন নিজের সাথে অবাধ্যতা করে এসেছেন, আজ অন্তত নিজের কথা শুনুন !

জীবনের কিছু কিছু সময়ে নিজের কাছেও আত্মসমর্পণ করতে হয় !

Saturday 13 January 2018

Night Safari @ Core forest region @ Satkosia Tiger & Crocodile Reserve forest

Night Safari @ Core forest region @ Satkosia Tiger & Crocodile Reserve forest
------------------------------------------------------------------------------------------------


Temp. Prai 5 degree ... Rat takhon 1 am ... Nushuti Rat ... Charidike ghono jangal.... Tar majhe amader Tent ....

Amra takhon Satkosia Tiger & Crocodile Reserve forest e .... Chhotkoi Nature Camp er Tent ....

5 degree temp er modhye amra 6 jon Bolero gari te beriye porlam Night Safari .... Core Area teo dhuke porlam forest deptt. er "indirect" help e through Nature Camp r Driver er madhyam e ....

Baghamunda r Labongi ei 2 arear Core region ei Night Safari hoi.... Amra gechilam Baghamunda Core Area te ... Rat 1 ta theke 3:30 te parjantoh jangal e safari korlum.... Garir headlight r Boro 6 battery er Torch amader poth dakhachilo ... Kokhono kokhono garir engine bandho kore light off kore wait korte laglam animal sighting er jonyo .... Oi alpo Light e Camerar cheye Mon e chobi tule rakhte hocchilo.... Thanda bole Spotted Deer chara temon animal sighting night safari te holo na .... (Pordin Satkosia Gorges e Boating safari te 3 te Crocodile, 1 ta Ghorial, Anek Kocchop r Horek Birds dekhte peyechilam .... Animal sighting er ovab ta eikhane anek tai miteche)

Jaihok Winter e 5 degree temp er modhye modhyo rat e Tent theke Core forest e Night Safari jibon er ak porom prapti ... Lifetime experience ....

Jara Nature ke bhalobasen, Traveller life lead koren , weekend e beriye poren tader jonyo ideal winter Destination Satkosia Gorges ...
Ami abar jabo Satkosia te ... Etotai bhalobese phelechi ....

Ki bhabe jaben, Kothai thakben details porer post gulo te thakbe .... Akhon Night Safari er 2 toh Mobile e tola video dakhun kichu ta feelings ta bujhte parben ....


.
.
.

#countrygirl #village #green #scenery #tour #travellife #tours #tourindia #traveltheworld #travel #travelblogger #traveler #jungle #satkoshia #orissatourism #angul #tiger #core #area
#crocodile #nature #naturephotography #video
Fgg

Wednesday 10 January 2018

Pandua Bandel Church Imambara Hanseswari Mandir

Ek diner trip (Pandua Bandel Church Imambara Hanseswari Mandir)
-----------------------------------------------------------------------------







Ami bhalo likhte pari na.. tai just information type hoye jabe .. tao dilam post ta .. jodi karur help hoy sei bhebe.

Eta 1 day trip. Ami Behala e thaki .. Bhor 4:30 AM te beriye 6 PM bari firechi.

Gechilam Pandua - Bandel Church - Hoogly Imambara - Hangseswari temple dekhte ... Apnara sathe Debanandapur (Sarat Chandra Chattopadhyay er jonmosthan) tao chaile dekhe nite paren eri sathe.

Siter sokal .. 5AM 7A bus pelam .. just 20 mins e Howrah poucholam 5:20 te ..

1 => 6:10 AM er Howrah-Bardhaman local dhorlam .. Namlam Pandua station e 30 mins late e pouchulam 8:15AM nagad. Station er baire Auto/Toto/Rickshaw stand. Toto kore jete hoy "Melatala". Distance khub e kom but 10/- per head bhara. Ekhane dekhar jinis holo "Bari Masjid" aar tar sanglagno "Minar". Bhangachora masjid e teracotta aar stone pillar gulo dekhbar moto. Kono maintenance nei bole mone hoy. Er history o khub ekta keu jane na.. but sunechi Pandab der sathe kono bhabe linked chilo ei anchal ... dekhe mone hoy eti eksamay Hindu mandir chilo.. pore masjid e converted hoyeche. Amar moto jara historical place dekhte bhalobasen tader bhalo lagbe.. Pasei royeche 5 tala "Pandua Minar". Puratatto bivager information onujae eta ekti bijoystambha. Minar er gate lock kora.. bhetore jaoa jay na but dorjay Hindu temple er Pilar dekhe obak laglo.
Egulo dekhte kono poysha lage na...Melatala jaygata ekta math.. ei samay mela bosar torjor cholche dekhlam ..

kichukhhon ekhane katiye ektu tarahuro korei 9:10AM e beriye porlam 9:32AM er Bandel er train dhorbo bole. station e ese dekhi bishal line.. train 20 mins deri na korle next train 11:30 e dhorte hoto / G T road e giye bus e Bandel jete hoto.. Kopal bhalo chilo train ta peye gelam :)

2 => Pandua theke Bandel 30 mins er poth. Around 10:20 am Bandel namlam. Station er baire ese toto kore Bandel Church poucholam. Bhara nilo 15/- per head (picnic season tar upor sunday). Bandel church er bepare kichu na bolleo chole .. sabai janen mone hoy. Chairidike Christmas er decoration akhono sajano ache. Church dekhe auto dhore Imambara dekhte elam. Onek age ekbar gechilam jakhon, takhon nouko chorechilam but ebar auto .. Fare nilo 15/- per head.

3 => Imambara re renovation cholche.. tai aar photoginic beparta nei. Entry fee Rs 10/- per head. Minar er 3 ghorir ghanta r mechanism, minar er top theke Hoogly nodi dekhte darun lage. Tachara Sun clock to achei. Imambara r back side e nouko ghat ache.. echhe korle nouko kore Bandel church jaoa jay. Ghat theke Jubilee bridge er view darun ...
Ooo ha .. jeta bola holo na... Imambara te 5/- kore ja "chafee" khelam ta bolar noy .. energy bere gelo .. darun cha chilo :)

Imambara theke beriye right hand e ektu agiye giye more er mathay darale Hangseswari mandir jabar auto paoa jay .. Fare Rs 18/- per head.. But ami 120/- te toto reserve kore Hangseswari mandir elam.

4 => Hangseswari mandir aar tar pase Ananta Basudeb er mondir. Ulto dike purono Rajbariri ruins.. egulo sobai janen.. aar kichu bolar dokar nei..
4:30pm Bansberia theke train ache howrah ferar. But takhon gharite baje 2pm. etota samay nosto na kore onno ekti family sathe share e Bandel station chole elam toto te kore.

Bandel theke 3:15pm er Bandel local dhore soja Howrah... tarpor bari :)

#countrygirl #village #green #scenery #tour #travellife #tours #tourindia #traveltheworld #travel #travelblogger #traveler #countrygirl #village #green #scenery #tour #travellife #tours #tourindia #traveltheworld #travel #travelblogger #traveler #pandua #bandel #church #imambara #hanseswari #tample