ঘুরে এলাম ঝাড়গ্রাম আর বেলপাহাড়ী ফেব্রুয়ারি তে
, ঝাড়গ্রাম স্টেশনে নেমে ৭ মিনিটের হাঁটা পথ। ডুলুং গেস্ট হাউস। গাড়ির সন্ধান ছিল আগেই। প্রথম দিন রেস্ট। ঘরোয়া সুন্দর রান্না (ডাল, চিকেন-এক কথায় অসাধারণ)মন কেড়ে নিল। পরদিন সোজা বেলপাহাড়ী। পরপর দেখলাম- ঘাগরা প্রপাত , তারাফেনী বাঁধ ,গুরাসিনি পাহাড় , খান্দারানী লেক। ঘাগরা প্রপাতের রুক্ষ অথচ নয়নাভিরাম রূপ মন কেড়ে নেয় অচিরেই। বিশাল এক মৌচাক আর গুঞ্জন রত মৌমাছির দল যেন পাহারা দিয়ে রেখেছে তারাফেনী বাঁধ। গুরাসিনি পাহাড়ের নীচে পৌঁছে গাড়ী থামল। পাহাড়ের মাথায় মন্দির। শুরু হল পাহাড় চড়া। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নৈসর্গিক। বিশাল সব মহীরুহ ঘিরে রয়েছে গোটা পটভূমি জুরে। খান্দারানী লেকে পৌঁছে হঠাৎ চোখ পড়ে লেকের মাঝে কতগুলো কালো বিন্দুর দিকে। ভাল করে লক্ষ্য করে দেখলাম ওগুলো আর কিছু নয় জলচর পরিযায়ী পাখীর দল। আলাপ হল নদীর পাড়ে এক আদিবাসী পরিবারের সাথে। বাবা, মা আর ছোট্ট এক ছেলে। ওপর থেকে দেখছিলাম তার দুষ্টুমি, কাছে যেতেই ছেলে একেবারে চুপ। আর শিলদার কাছে আদিবাসীদের উপাস্য দেবতা বাবা ভৈরবের শতাব্দী প্রাচীন ওপেন এয়ার মন্দির । কথিত আছে ঘাটশিলাস্থিত রংকিনী দেবী হলেন এনার ভার্যা। বিশাল ধুধু প্রান্তরে খোলা ইটের বেদীতে অবস্থান করছেন বাবা ভৈরব। এই নির্জন প্রান্তর লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে বিজয়া দশমীতে বসা মেলায়। দূর দূর থেকে বহু লোক আসে সেই গ্রামীণ মেলায়। বাবা ভৈরবের কাছে বলি দেওয়া হয় পায়রা থেকে পাঁঠা সবই। শুনলাম তিন-চার দশক আগে এই মেলাতে ভেড়ার লড়াইও জনপ্রিয় ছিল। পরদিন গেলাম চিল্কিগড়ে কনকদুর্গা মন্দির। টিকিট কাউন্টার থেকে মন্দির পর্যন্ত লাল মাটির নয়নাভিরাম আরন্যক পথে হেঁটে চলা মন্দির দর্শনের উপরি পাওনা। পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে ছোট্ট নদী ডুলুং। প্রায় ৫০০ মিটার হেঁটে হঠাৎ বাঁক নিতেই দৃশ্যমান হয় মন্দিরটি। পুরোনোটি, যেটি বহু বছরের পুরোনো, যার স্বর্ণ দূর্গা থেকে কনকদূর্গা নাম সেটিও খুব সুন্দর। মন্দিরের সামনের প্রাঙ্গনে হনুমানদলের লাফালাফি চলছে পূর্ণোদ্যমে। পাশের বর্ষার ভরাযৌবনা ডুলুংএর শীতে তখন কৈশোর চলছে। নদীর সাথে সময় কাটালাম বেশ কিছুক্ষণ। এরপর গেলাম নদীর ওপারে চিল্কিগড় রাজবাড়ীতে। যেটিকে ছুঁয়ে ইতিহাস অনুভব করা যায় (যার তুলনায় ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ী অনেকাংশেই কৃত্রিম মনে হয়েছে)। বিশাল এক প্রান্তরে সুপ্রাচীন এক বটগাছ এবং এক শিব মন্দির ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে। পাশেই রাধামাধব মন্দিরে পুজো হয় আজও। এরপর ঝাড়গ্রাম মিনি জু। প্রায় হাজারের ওপরে হরিণ আছে যেখানে । ময়ুর, এমু ,কুমির, নীলগাই, সাপ, ছোট বাঁদর , মেছো বিড়াল , হাতি কিছুই বাদ নেই। কপালজোরে পেখম মেলা ময়ূরের দর্শনও হয়ে গেল। দুদিনের সফর শেষ হয়। প্রসঙ্গত তথ্য সরবরাহ ও বিশেষ সহায়তা - শ্রী রবীন্দ্রনাথ কিস্কু (আমাদের অফিসের রবিদা, ওনার বাড়ি ঝাড়গ্রাম)
গাড়ীর যোগাযোগ - গনেশ দাস —৮৯৭২৩৭৭২৮০/৯৭৪৯৪১৩৬১৬
ডুলুং গেস্ট হাউস— ৯৯৩৩৫৭৭৩৯১
, ঝাড়গ্রাম স্টেশনে নেমে ৭ মিনিটের হাঁটা পথ। ডুলুং গেস্ট হাউস। গাড়ির সন্ধান ছিল আগেই। প্রথম দিন রেস্ট। ঘরোয়া সুন্দর রান্না (ডাল, চিকেন-এক কথায় অসাধারণ)মন কেড়ে নিল। পরদিন সোজা বেলপাহাড়ী। পরপর দেখলাম- ঘাগরা প্রপাত , তারাফেনী বাঁধ ,গুরাসিনি পাহাড় , খান্দারানী লেক। ঘাগরা প্রপাতের রুক্ষ অথচ নয়নাভিরাম রূপ মন কেড়ে নেয় অচিরেই। বিশাল এক মৌচাক আর গুঞ্জন রত মৌমাছির দল যেন পাহারা দিয়ে রেখেছে তারাফেনী বাঁধ। গুরাসিনি পাহাড়ের নীচে পৌঁছে গাড়ী থামল। পাহাড়ের মাথায় মন্দির। শুরু হল পাহাড় চড়া। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নৈসর্গিক। বিশাল সব মহীরুহ ঘিরে রয়েছে গোটা পটভূমি জুরে। খান্দারানী লেকে পৌঁছে হঠাৎ চোখ পড়ে লেকের মাঝে কতগুলো কালো বিন্দুর দিকে। ভাল করে লক্ষ্য করে দেখলাম ওগুলো আর কিছু নয় জলচর পরিযায়ী পাখীর দল। আলাপ হল নদীর পাড়ে এক আদিবাসী পরিবারের সাথে। বাবা, মা আর ছোট্ট এক ছেলে। ওপর থেকে দেখছিলাম তার দুষ্টুমি, কাছে যেতেই ছেলে একেবারে চুপ। আর শিলদার কাছে আদিবাসীদের উপাস্য দেবতা বাবা ভৈরবের শতাব্দী প্রাচীন ওপেন এয়ার মন্দির । কথিত আছে ঘাটশিলাস্থিত রংকিনী দেবী হলেন এনার ভার্যা। বিশাল ধুধু প্রান্তরে খোলা ইটের বেদীতে অবস্থান করছেন বাবা ভৈরব। এই নির্জন প্রান্তর লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে বিজয়া দশমীতে বসা মেলায়। দূর দূর থেকে বহু লোক আসে সেই গ্রামীণ মেলায়। বাবা ভৈরবের কাছে বলি দেওয়া হয় পায়রা থেকে পাঁঠা সবই। শুনলাম তিন-চার দশক আগে এই মেলাতে ভেড়ার লড়াইও জনপ্রিয় ছিল। পরদিন গেলাম চিল্কিগড়ে কনকদুর্গা মন্দির। টিকিট কাউন্টার থেকে মন্দির পর্যন্ত লাল মাটির নয়নাভিরাম আরন্যক পথে হেঁটে চলা মন্দির দর্শনের উপরি পাওনা। পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে ছোট্ট নদী ডুলুং। প্রায় ৫০০ মিটার হেঁটে হঠাৎ বাঁক নিতেই দৃশ্যমান হয় মন্দিরটি। পুরোনোটি, যেটি বহু বছরের পুরোনো, যার স্বর্ণ দূর্গা থেকে কনকদূর্গা নাম সেটিও খুব সুন্দর। মন্দিরের সামনের প্রাঙ্গনে হনুমানদলের লাফালাফি চলছে পূর্ণোদ্যমে। পাশের বর্ষার ভরাযৌবনা ডুলুংএর শীতে তখন কৈশোর চলছে। নদীর সাথে সময় কাটালাম বেশ কিছুক্ষণ। এরপর গেলাম নদীর ওপারে চিল্কিগড় রাজবাড়ীতে। যেটিকে ছুঁয়ে ইতিহাস অনুভব করা যায় (যার তুলনায় ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ী অনেকাংশেই কৃত্রিম মনে হয়েছে)। বিশাল এক প্রান্তরে সুপ্রাচীন এক বটগাছ এবং এক শিব মন্দির ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে। পাশেই রাধামাধব মন্দিরে পুজো হয় আজও। এরপর ঝাড়গ্রাম মিনি জু। প্রায় হাজারের ওপরে হরিণ আছে যেখানে । ময়ুর, এমু ,কুমির, নীলগাই, সাপ, ছোট বাঁদর , মেছো বিড়াল , হাতি কিছুই বাদ নেই। কপালজোরে পেখম মেলা ময়ূরের দর্শনও হয়ে গেল। দুদিনের সফর শেষ হয়। প্রসঙ্গত তথ্য সরবরাহ ও বিশেষ সহায়তা - শ্রী রবীন্দ্রনাথ কিস্কু (আমাদের অফিসের রবিদা, ওনার বাড়ি ঝাড়গ্রাম)
গাড়ীর যোগাযোগ - গনেশ দাস —৮৯৭২৩৭৭২৮০/৯৭৪৯৪১৩৬১৬
ডুলুং গেস্ট হাউস— ৯৯৩৩৫৭৭৩৯১
No comments:
Post a Comment